পলাশ ভট্টাচার্য্য
জাতীয় উদ্যোগ
জাতীয় উদ্যোগে দেশে যে ক'টি প্রদর্শণী আজ
পর্যন্ত নিয়মিতভাবে আয়োজিত
হয়ে আসছে-
দ্বিবার্ষিক জাতীয় প্রদর্শণী তার মধ্যে একটি। দেশের প্রবীণ থকে নবীনতম শিল্পীদের বাছাই করা শিল্পকর্ম গুলো দেখার সূযোগ ঘটে এই
প্রদর্শণীতে। এবারের
আয়োজনে প্রায় বাছাইকৃত ২৬১ জন
শিল্পীর ২৭৩টি শিল্পকর্ম বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালায় প্রদর্শিত
হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ শিল্পীই বয়সে তরুণ এবং যার মধ্যে একটি অংশে যারা আছেন তারা প্রায় নবীন। পূর্বের আয়োজনের তুলনায় এবারের প্রদর্শণীর নির্বাচিত
শিল্পকর্মের সংখ্যা চোখে পড়ার মত
বটে, সাথে এটাও আঁচ করা যায় ধীরে ধীরে দেশের শিল্পচর্চার আদলটা পাল্টাচ্ছে। শিল্পীরা
বিশেষ করে তরুণ বা নবীনতম শিল্পীদের চর্চায় শিল্পমাধ্যম ও তার উপস্থাপন সংক্রান্ত পরিবর্তনের প্রতি আগ্রহ বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়।
যেটুকু নতুন
প্রদর্শণীতে স্থান পাওয়া শিল্পকর্মগুলোর মাধ্যমগত বেশ ভিন্নতা ছিল। পেন্টিংস, প্রিন্টমেকিং, ভাস্কর্য, ভিডিও, স্থাপনা
আর প্রথমবারের মত অল্প পরিসরে পারফরমেন্স আর্টকে জাতীয় প্রদর্শণীতে স্থান দেয়া হয়েছে যেখানে মাত্র দুজন শিল্পী অংশ নিয়েছেন। গত
এক দশকের বেশী সময় ধরে দেশে পারফরমেন্সকে শিল্পচর্চার একটি আলাদা মাধ্যম হিসেবে অনেক শিল্পী ও শিল্পী মোর্চা
বা সংগঠন গুরুত্ব সহকারে চর্চা করে এলেও আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পর্যায়ের প্রদর্শণীগুলোতে তেমন একটা স্থান পায়নি। এই প্রথম বারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে পারফরমেন্স
জাতীয় আয়োজনে স্থান পেয়েছে । তবে আরেকটু সংযুক্তি থাকলে অন্তত এই সময়ের শিল্পীদের
কিছুটা উৎসাহিত করা যেত। যেহেতু
ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পারফরমেন্স
আর্ট দেশে ও দেশের বাইরে নানা অয়োজনে স্থান পেয়েছে সেটা ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকাশনা,
গণমাধ্যম সহ
বিভিন্ন আলোচনায় ও সমালোচনায় উঠে এসেছে। আমরা আপতত ফিরে যায় শিল্পীদের কাছে যারা প্রদর্শণীর উদ্ভোধনী দিনে তাদের পারফরমেন্স উপস্থাপন করেছেন যথাক্রমে ঋতু সাত্তার এবং অসীম হালদার সাগর । অসীম হালদার সাগর তার Seismic Epitaph শীর্ষক পারফরমেন্সে
বিদ্ধস্ত শহরের ইটের স্তুপে চাপা পড়ার যন্ত্রণাকে আপন করে নিয়েছেন প্রায় আধ ঘন্টার কার্যক্রমে। তার কার্যক্রমে
যুক্ত হয়
মাল্টিমিডিয়া প্রজেকশন যেখানে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে বিদ্ধস্ত নেপালের দৃশ্য ভেসে ওঠে। যে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশও। অসীম হালদার সাগর সেই পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা প্রকাশ করেছেন আর পারফরমেন্সে ব্যবহার
করেছেন প্রচূর ইট, ফুল আর পাপড়ী, মোমবাতির
মত বেশ কিছু সাধারন বস্তু। ঋতু সাত্তারের
'উত্থিত দিনের গল্প' পারফরমেন্সে নির্মাণ করেছেন সাম্প্রতিক সময়ের সংলাপ।
তবে পারফরমেন্সের স্থান নির্বাচন এবং সময় নির্ধারণ সম্পর্কে আয়োজক আর শিল্পীরা উভই আরেকটু মনোযোগী হলে ভালো হত।
যা কিছু প্রচলিত
শিল্পকলাএকডেমীর জাতীয় চিত্রশালায় ২টি ফ্লোরের গ্যালারীগুলোতে স্থান পেয়েছিল নির্বাচিত শিল্পকর্মগুলো। শিল্পকর্ম প্রদর্শণ(display)
প্রায় প্রচলিত নিয়মেই সাজানো হয়েছিল। এছাড়া সেই পূর্ব প্রচলিত প্রভাব এখনো এই প্রদর্শণীর প্রকাশনা বিশেষ করে ক্যাটালগ,
আমন্ত্রণ পত্র প্রভৃতি বিষয়ের উপরও পড়েছে। অসংখ্য শিল্পকর্ম আর মাধ্যমগত এত
ভিন্নতার ভেতরে প্রদর্শণ মানে কিছুটা নতুনত্বের দাবী থাকে। এক্ষেত্রে পূর্বের জাতীয় প্রদর্শণীর প্রদর্শণ মান তুলনামূলক অনেকাংশে উত্তম ছিল। কিন্তু
আজকের প্রেক্ষাপটে সেই প্রচলিত নিয়ম কিছুটা হলেও ম্লান হয়ে গেছে। যেহেতু
সমকালিন
শিল্পকলায় শিল্প জ্ঞান ও শিল্পভাবনার অনেক বিচিত্র রূপ আর শিল্পীরা সেই বহু বিচিত্রতার ভিত্তিতে অনেক
নতুন নতুন মাধ্যম
নিয়ে শিল্পচর্চা করছেন, তাই তাঁদের শিল্পকর্ম প্রদর্শণ মানের দিকে আয়োজকদের খানিকটা মনোযোগ আশা করা যায়। মাধ্যমগত সীমানা নির্ধারণ এর চেয়ে স্বাধীন উপাদান
ও উপকরণে সমসাময়িক শিল্পচর্চায় যে ভাষা তৈরী হচ্ছে তার ব্যাপারে সুচিন্তিত
পদক্ষেপের সময় এসেছে। তাই সেক্ষেত্রে শিল্পকর্ম বাছাই থেকে শুরু করে উপস্থাপন
প্রক্রিয়াকে পর্যবেক্ষণ করার মত উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। আর এই প্রদর্শনীর বৈশ্বিক মানদন্ডের বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে ভাবা দরকার। শুধু একটি জাতীয় আয়োজন হিসেবে না দেখে এই প্রদর্শণীকে সমকালিন শিল্পকলার প্রতিনিধিত্বশীল রূপ দেয়ার দাবী আনা যায়। এত
বড় একটি জাতীয় আয়োজনে শিল্পকর্ম বাছাই এবং শিল্পীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন প্রদর্শণীর প্রধান
অংশ। দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্পী থেকে শুরু করে নবীণ শিল্পীদের সমন্বয়ে প্রদর্শণীকে সমৃদ্ধ করতে পারে। কিন্তু জাতীয় প্রদর্শণীর ধারাবাহিক এই আয়োজনে আজ সেই সমন্বয়ে ঘাটতি দেখা যায়। দেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরা এখন আর অংশ নিচ্ছেন
না এই
প্রদর্শণীতে। আর বাচাইকৃত শিল্পকর্ম গুলোর প্রদর্শণ কক্ষে কোথায় যেন নিষ্প্রাণ হয়ে উঠে। তবে শিল্পচর্চা করে চলেছেন শিল্পীরা। যার প্রতিফলন হয়ত এমন জাতীয় আয়োজনে হচ্ছে না। হচ্ছে কোনো ভিন্ন আয়োজনে,
যার প্রতি আয়োজকরা কিছুটা হলে জ্ঞাত। তাই জাতীয় পর্যায়ে এমন একটা মান ধরে রাখা খুব জটিল কিছু নয়। আয়োজকদের পাশাপাশি
শিল্পীদেরও দায় থেকে যায় একটা নতুন শিল্পভাষার অনুসন্ধান।
প্রদর্শন প্রক্রিয়া ও কিছু শিল্পকর্ম
Display সংক্রান্ত জটিলতা সম্পর্কে আলোচনা করে সহজ সমাধান হয়তো সম্ভব
নয়। তাই প্রদর্শণীর বিশেষ
কোনো অংশের ভেতর অবস্থান করা শিল্পবস্তুগুলোর উপস্থাপন প্রক্রিয়াকে উদাহরণ হিসেবে দেখতে পারি। যেমন একটি কামরায় একসাথে নজরে পড়া যে ক’টি শিল্পকর্ম ছিলো তার মধ্যে Rupam Roy এর
Liquidity of Sound-5 ভাস্কর্যটি। যেখানে শব্দের
flexibility কে visualize করার ধারাবাহিক চর্চায় Rupam বস্তুটি নির্মাণ করেছেন ফাইবার গ্লাস, প্লাস্টিক এবং কাঠের সমন্বয়ে। তারপর একটু Humorous, আর একটু
acrobatic movement এ Mithun Kumar Saha র ভাস্কর্য
The Click। তারই কাছাকাছি ঝুলেছে Tanny Das Gupta পেন্টিং 'My
Inner Reality'। আর Sanad
Kumar Biswas এর Nothingness-1 এ অস্তিত্ববাদী দর্শনের অনুপ্রেরণায় ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন কাগজের বিক্রিয়ায় তৈরী ভাস্কর্যে। যেখানে Sanad
সাধারণ উপকরণের বিক্রিয়ায় কাগজের স্বভাব বিলুপ্ত করে সৃষ্টি করেছেন এক
রঙা বিকার পদার্থ।
এই কামরায় নজরে পড়া এসব শিল্পকর্মগুলোর অবস্থান পারস্পারিক দূরত্বতার অভাববোধে কিছুটা আক্রান্ত হয়েছিল। আরেকটু বাড়তি
space এর উপর জোর দেয়া গেলে হয়ত এই শিল্পকর্মগুলো যথার্থভাবে
উপস্থাপন করা যেতো।
ফিরে আসি গ্যালারীর আরেকটি অংশে যেখানে বেশীরভাগ ভিডিও এবং ইন্সটলেশন ছিল। এখানে মনে হচ্ছিল কোথাও
প্রয়োজনের তুলনায় বেশী বা কম space নির্ধারনের কারণে কিছু কিছু শিল্পকর্ম আবেদন
ম্লান হয়ে ওঠে। যেমন শিল্পী Niloofar Chaman এর Daily Story of
South Asian Onion শীর্ষক installation এ দেশে
কোন এক প্রান্তে আগুন লেগে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্রের পুনঃস্থাপন করেছেন ব্যক্তিগত
ন্যরাটিভ আর প্রচলিত বাণীতে। এই শিল্পকর্মে Chaman বেশ কিছু object এর সমন্বয় করেছেন এক সাথে কিন্তু দেখার
জন্য সীমিত space । অনুরূপ Md. Hasan Morshed এর puzzle স্থাপনাটি স্থান নির্ধারণ নিয়ে বিবেচনা করা
যেত। কামরাগুলোর বা
পার্টিশানগুলোর বিভাজনটা
fixed না হয়ে, যদি হালকা করা যেত অথবা গ্যালারীর
কামরাগুলোর/ পার্টিশান wall গুলোতে wheel সংযুক্ত করা যেত
তাহলে হয়তো space বিভাজন সহজ হয়ে যেত, যাতে প্রয়োজনে গ্যালারীর ভেতর কামরাগুলো ছোট বড়
করা সম্ভব হত।
এতে স্পেস পর্যাপ্ত/ যথার্থ পরিমাপে ব্যবহার উপযোগী হত। শিল্পকর্মের প্রদর্শণের স্থান
সম্পর্কে আপতত এটুকুই থাক।
এই গ্যালারীর আরো শিল্পকর্মের এর মধ্যে
যা ছিল Jublee Dewan, Choto Golpo স্থাপনায় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার অভিব্যক্তির প্রকাশ করেছেন কাপড়ে বোনা পুতুলের মাথায় ছোট ভিডিওচিত্রে- শহরের কোনো এক প্রান্তের কর্মজীবী শিশুর যাপিত জীবনের কিছু অংশ। Zihan Karim এর Double channel video Installation দেখতে পাই Zihan র পর্যবেক্ষনে কিছু জানালার বাইরে ঘটে যাওয়া প্রকৃ্তির পরিবর্তন। বৃষ্টিপাত,
হাওয়া বদল, জনকোলাহল কেবল জানালার ভেতরে থেকে Zihan র চেতনাকে নানাভাবে প্রভাবিত Tayeba
Begum Lipi র Ah! water! 3 channel ভিডিও তে Installation উঠে এসেছে নদীর পানি দূষণ অথবা
নদীর মৃত্যু। Shimul Shaha র Towards The Being শিল্পকর্মে ড্রইংগুলো LED light এর সংযোজনে
উজ্জ্বল হয়ে ওঠে আর ভিন্ন এক মাত্রা যুক্ত হয়। এছাড়া Afsana Sharmin এর
single channel video পারফরমেন্স ও আর kamruzzaman Shadhin স্বাধীন
ভিডিও Floor
Projection
প্রকাশ
যেসব তরুন শিল্পীরা বিচিত্র নানা ভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের
মধ্যে Farhana Preya র Rickshaw Puran 2, স্থাপনায় রিকশার অংশটিতে চট, স্বচ্ছ্ব কাপড়ের
উপর সুতোয় বোনা আপন স্মৃতি। Esmat Jahan Hashmee' র পেইন্টিং The Merriment of Creation এ
সুররিয়ালিস্টিক আবহে এসেছে সেলাই মেশিনে শ্রমসিদ্ধ বস্ত্র শিল্পের কার্যপ্রণালী। Syed
Tareq Rahman এর Luxury Ride - ফাইবার
গ্লাসে নির্মিত বিলাসপ্রিয় আর
চাকাযুক্ত যন্ত্রযানের মিশ্রণে
ফুটে ওঠে খর্বাকার মানব আকৃ্তি। আর কিছুটা সাধারণ উপকরন এবং founding object এর সমন্বয়
করেছেন Abu Bakar Siddiue এর মজা' তে (Moja) যেখানে কিছু বোতলের
ব্যবহারে ভিন্ন রূপ লাভ করে।
Md. Sana Ullha, র স্থাপনা দৃষ্টি (Dristy) নারকেলের মালার সমন্বয়ে রূপান্তরিত হয় অসংখ্য চোখ সদৃশ্য
বস্তুতে। MD. Aminul Islam এর Face of Life 61 তে রঙীন বালিশের সমন্বয় এবং তার উপর এক মুখাবয়ব সংযুক্ত করে প্রাত্যাহিক
জীবনের কিছু মুহুর্তের আভাস দিয়েছেন।
যেসব শিল্পীরা গভীর মনোনিবেশ করেছেন একান্ত ব্যক্তিগত
অনুসন্ধানে- তাদের মধ্যে আত্নজিজ্ঞাসায় ব্রত
আত্নপ্রতিকৃতি Sayed Fida Hossain এর Self
Quest and Panorama World-3 এবং Md. Tanvir Jalal তাঁর জ্যামিতিক
বিভাজনে অংকন
করেছেন A Binary Approach to
Return Thyself Vision 1 and 2 , যেখানে Jalal এক দার্শনিক চিন্তায় আত্নবিশ্লেষণ করার
প্রয়াস চালিয়েছেন। এছাড়া Sanjoy Chakrabortyর Art and Philosophy-2, প্রকৃতি, দর্শন আর শিল্প
সম্পর্কে আপন জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটেছে কাপড়ের স্ক্রলের উপর wood cut print এ।
একাডেমীক দক্ষতা আর ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষনে Ruhul Karim Rumee র Ambiguity উডকাট প্রিন্ট ও ঊডকাট প্লেট এর সমন্বয়ে দীর্ঘ ইমেজ দাঁড়
করিয়েছেন এবং Palash Baran Biswas এর লিথোগ্রাফ Woman and Abstract Reality তে ফুটে ওঠে সাধারন আলো অন্ধকারের বিন্যাস ।
প্রদর্শণীতে প্রতিষ্ঠিত নিজস্ব
শিল্পভাষায় নতুন আবেদন ও সংবেদনশীলতায় উপস্থিত
হয়েছে তাদের মধ্যে Atia Islam Anne র A Memory 1971, Anisuzzaman Sohel এর The Birth,
Habiba Akhter Papia র Melted
Melody, Yubraj Zahed A. Chowdhury এর Introduction and amendments, Nafiuzzaman Naffi এর untitled, Subrta
Das এর Heat of combastion-2।
যাঁদের
শিল্পকর্মে প্রায় সরাসরি দেশের রাজনৈতিক অরাজকতার পরিস্থিতি নিয়ে ইঙ্গিত স্থাপন করেছে
Kazi Salahuddin Ahmed এর Politics of Fire, Mohammmad Hasanur Rahman এর Game of
Burning, Efat Razowana Reya র Public and Punishment।
পরিশেষে
শিল্পকর্মের প্রদর্শণের (Display) সমন্বয় বা এর স্থান নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পকর্ম বাছাই নিয়েও কিছু ভাবনার
অবকাশ রয়েছে। এক্ষেত্রে আয়োজক ও
নির্বাচক মণ্ডলির অভিরুচির সমন্বয় থাকা জরুরী। শিল্পকলার এই আয়োজন হয়তো ব্যাপক
শিল্পকর্ম নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এর একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল স্থু্ল প্রকাশভঙ্গি।
তাই এই আয়োজনের ভবিষ্যত পরিনতি নজরে আনা
দরকার। এমতাবস্থায় নবীণ আর প্রবীণ শিল্পী অংশগ্রহনে সুসামঞ্জস্য ফিরিয়ে আনাও দরকার।
পরিশেষে এই আশাবাদ ব্যক্ত করা যায় ভবিষ্যতে এই জাতীয় আয়োজন দেশের একটি প্রতিনিধিত্বশীল শিল্পকলা প্রদর্শণী হিসেবে গুরুত্ব লাভ করবে। সাথে সাথে শিল্পীদের নতুন শিল্পভাষার উপস্থিতি সমৃদ্ধ করবে বাংলাদেশের শিল্পচর্চাকে।
-Palash Bhattacharjee