Friday, October 30, 2015

শান্ত নদীর বাঁক কিংবা এক ফালি কাটা চাঁদ...

শিল্পী ভিনিতা করিমের 'River Stories'
পলাশ ভট্টাচার্য্য
Publication: Vinita Karim's 'River Story' Catalogue  The bend of a serene river or a slice of the moon, Bengal Foundation

জটপাকানো শহর, শান্ত নদী, তার উপর আকাশ, সাথে কখনো এক ফালি কাটা চাঁদ অথবা পূর্ণ সূর্য বা শুধুই সূর্যের আভা আর কালের পরিক্রমণ- এসবই দৃশ্যত প্রকৃতিকে মানিয়ে নেওয়া স্বতস্ফূর্ত বিন্যাস এই সমূহ দৃশ্য অর্জিত হয়েছে দীর্ঘ পরিক্রমায়, এক গভীর অন্তর্দৃষ্টির নিরীক্ষণে যে পরিক্রমায় রয়েছে, অবলীলায় বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে  বিচরণ, একেকটি প্রান্তে পৌঁছানোর পর শুরু হয় শূন্য থেকে চিনে ওঠার প্রবৃত্তি যা বার বার ঘুরপাক খেয়ে সমৃদ্ধ করে আপন চেতনাকে এভাবে কিছুকাল, কতকাল কাটে এখানে ওখানে ভারি হতে থাকে স্মৃতির ঝুড়ি, অবিরাম চিন পরিচয়ের মধ্যে কাটে জীবন বোধ হয় রবি ঠাকুরের সুর কিছুটা মিলে এখানে

অচেনাকেই চিনে চিনে উঠবে জীবন ভরে ।।
(Knowing the unknown, life will be fulfilled.
                                       Translated by Shailesh Parekh)

ভিনিতা করিমকে যাঁরা চেনেন, তাঁর এই বিশ্ব বিচরণ সম্পর্কিত ধারণা নিশ্চয় আছে সুতরাং আজকের এই পরিমন্ডলে ভিনিতার বাংলাদেশের অধ্যায়টুকুতে তাঁকে জানা খুব একটা কঠিন হবে না এই পর্বে তাঁর 'River Stories' এ নতুন করে আবার তাঁকে খুঁজে পাব তাই আপতত তাঁর  শহুরে স্বপ্নের ক্যানভাসগুলোর সাথে থাকি এই বিমূর্ত শহর প্রকৃতি কেবল ভিনিতার স্বপ্নময় বা রোমান্টিকতার প্রতিফলন নয়, তাঁর শ্রম আর ব্যক্তিগত জীবনের আলোকিত নিবন্ধ

বর্ণিল সংলাপ:
ভিনিতার ভাষা অনেকটা সাবলিল, আলঙ্কারিক আর অতি রঙীন একেবারেই সরাসরি ক্যানভাসে মনোনিবেশ করেন আপন কৌশল বিচিত্র সব উপাদানে তিল তিল করে শহুরে নিসর্গের বিমূর্তায়ন ঘটান নানা রঙে  রেখায়ছোপে, ফোঁটায়আর বুননে বিভিন্ন গড়নের ক্যানভাসেগুলোতে আলাদা আলাদা করে ফুটে উঠে তাঁর শহুরে নৈসর্গিক বৈচিত্র্য, যেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফর্ম যেমন আঁকাবাঁকা নদী, সেতু, রাস্তাঘাট প্রভৃতির সমন্বয়ে গড়ে ওঠে শহুরে বিন্যাস  ক্যানভাসের বড় স্পেস জুড়ে প্রায় ছড়িয়ে থাকে আকাশ, পাশাপাশি কখনো থাকে কাটা চাঁদ বা ভোরের আলো বা অস্তমিত সূর্যের অবস্থান বড় স্পেসগুলোতে অনেক ক্ষেত্রে কোনো একটি বিশেষ রঙের আধিক্য থাকে অবশ্য সেক্ষেত্রে প্রায় রঙগুলো সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে তাদের মিশ্রিত আলোছায়ার(Shade/ Tonal Dimension) মাধ্যমে, যেমন বড় ক্যানভাসে ছড়িয়ে যাওয়া সূর্যের আভার মত চারপাশটা হলুদ, আম্বার, কমলা প্রভৃতির সমন্বয়ে লাল হয়ে ওঠে আকাশ আবার মিশ্র উপাদানে গড়ে ওঠা ফর্মের সামঞ্জস্যপূর্ণ বৈপরীত্যে কোন কোন রঙ প্রধান হয়ে ওঠে, যেমন ক্যানভাসের কোন বৃহৎ অংশের উপরে বা নিচে, ডান বা বাম অংশের বিরতিতে নদীর বা আকাশের নীল বা হলুদ রঙকে তার জমজমাট রিপিটিটিভ ফর্মগুলো থেকে আলাদা করে তোলে নানা রঙের রিপিটেটিভ ফর্মগুলো গড়ে ওঠে এক্রেলিক, অয়েল, মসলিন, সাধারন কাপড়, গোল্ড লিফ, কপার লিফের মত বিচিত্র সব উপাদানের সংমিশ্রনে ছোট, মাঝারি ব্রাশিং এর মাধ্যমে  ফর্মগুলোকে ডিটেইলিং এর দিকে এগিয়ে  যায় আবার নানা রঙের সুহ্ম ব্রাশিং এর মাধ্যমে কিছু রেখার আউটলাইন আর রঙের ছিটে ফোঁটায় জমে ওঠে ফর্মগুলোর গতি অনেক সময় রিপিটেটিভ ফর্মগুলোর খানিকটা অংশের উপর  থাকে আরো কিছু উজ্জ্বল গতির রেখা- যা পুরো বিন্যাসকে জমজমাট করে তোলে

মসলিন অন্যান্য:
ভিনিতার কর্মপদ্ধতির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কোলাজ যেখানে প্রায় তিনি মসলিন, সাধারন ফেব্রিক, গোল্ড লিফ, পাট সুতো, মাঝে মধ্যে খবরের কাগজ প্রভৃতি ব্যবহার করেন এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তাঁর মসলিন বা সাধারন ফেব্রিকের এম্ব্রয়ডারি বা সেলাই প্রক্রিয়া তাঁর ক্যানভাসে নানাবর্ণের এক্রেলিকের সাথে যোগ হয়  মসলিন আর সাধারন ফেব্রিক এর নিখুঁত সেলাই, যা বর্ণ/রঙ আর মসলিন বা সাধারন ফেব্রিক সাথে মিলেমিশে কিছুটা রিলিফ এর মাত্রা পেয়ে থাকে ঢাকাই মসলিনের যে সমৃদ্ধ ইতিহাস আর এদেশের টেক্সটাইল/বস্ত্রশিল্পের ঐতিহাসিক ভিত্তি খ্যাতি তা বিনিতাকে আকৃষ্ট করে বাংলাদেশের লক্ষ শ্রম আর এই শুদ্ধ সুন্দরের বস্ত্রশিল্পের প্রতি ভিনিতার আবেগ কন্দ্রীভূত হয় তার ক্যানভাসের সেই বুননে ভিনিতা এই শ্রম আর শুদ্ধ সুন্দরের প্রতি আস্থাশীল  গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঁথা শিল্পের যে কার্যপদ্ধতি, সেই ঐতিহ্য অনুপ্রাণিত করে তাঁর শিল্পশৈলীকে

বিচিত্র নিরীক্ষণ সাম্প্রতিক অভিযাত্রা:
ইতিপূর্বে ভিনিতার মিশর পরিক্রমায় তাঁর ফিগারটিভ চিত্রে আরেকটা দীর্ঘ নিরীক্ষণ লক্ষ্য করা যায় যার গড়ন উপস্থাপনও ছিল বিচিত্র যা দেখে তাঁর স্থানিক আর সাময়িক অবস্থান আঁচ করা যেতে পারে ফিগারটিভ সেই সব চিত্রের বর্ণ, গঠন এমনকি ফ্রেমিংও মিশরীয় সভ্যতা সেখানকার স্থানীয় ঐতিহ্যের ছাপ লক্ষ্য করা যায় তিনি আরো বেশ কিছু মাধ্যমগত নিরীক্ষা করেছিলেন যেমন বড় বড় ফেব্রিক, এক্রেলিক, স্পাইসি ইত্যাদি উপাদান তাঁর বিভিন্ন স্থাপনা কর্মে  ব্যবহার করেছিলেন যেখানে ত্রিমাত্রিকতার সাথে যোগ হয় ইন্দ্রীয়গ্রাহ্য সংবেদনশীলতা ভিনিতার সাম্প্রতিক এই যাত্রায় দ্বিমাত্রিক ক্যানভাসের বাইরে আরো কিছু নিরীক্ষা লক্ষ্য করা যায় যেমন ফাইবার গ্লাসে তৈরি ডিম্বাকৃতির ত্রিমাত্রিক ফর্ম যার উপর  সেই নৈসর্গিক বিমুর্তায়নকে অক্ষুন্ন রেখেছেন এখানেও তিনি এক্রেলিক, গোল্ড লিফ আর কপার লিফের মিশ্রণে গড়ে তোলেন শহুরে বিন্যাসকে এই বিশেষ আকারটি তাঁর শিল্পশৈলীকে আলাদা মাত্রা এনে দেয় যার আবেদন সংবেদনশীলতা আরও গভীর করে তোলে তাঁর শিল্প পরিক্রমাকে

ভিনিতা চিন্তার শৈলী, উপাদানিক প্রায়োগিক কৌশলের প্রতি সব সময় যত্নবান তাঁর বিশ্ব পরিক্রমায় পৃথিবীর যেকোনো স্থানে প্রস্তুত থাকেন চিন্তার রূপায়নে আর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়ত সংগ্রহ করে থাকেন দুস্প্রাপ্য, মূল্যবান প্রচুর উপকরণ এজন্য চিত্রকর্মে বিকল্প উপাদান বা উপকরণের প্রতি তাঁকে খুব একটা নির্ভর করতে হয় না তাঁর সংগ্রহীত উপকরণগুলো আরো মূল্যবান হয়ে ওঠে তাঁর ক্যানভাসে সাধারন স্টুডিওতে একগ্র চিত্তে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণতা (Totality) নিয়ে আসেন তাঁর প্রতিটি শিল্পকর্মে

ধ্যান:
ভিনিতার চিত্ত অনেকটা ধ্যানি একটি পরিশুদ্ধ স্বাধীন আত্না যার আত্নকথা ফুটে ওঠে জাঁকজমকপূর্ন বিন্যাসে যে বিন্যাসের কোনো সীমানা নেই, যেখানে কোন অসীমের দিকে অবিরাম ছুটে চলার আকাঙ্খা তাইতো ঘুরে ফিরে আসে বার বার সেতু, নদী, আকাশ, পাহাড় প্রভৃতি যে ফর্মগুলো সার্বজনীন আর সাথে তাঁর জীবন, বাস্তবতা সময়ের পরম্পরা সেতুর বন্ধনে আপন এই বিশ্ব প্রান্তর, ঢেউ খেলানো স্থির পাহাড়ের সাথে আকাশ বহমান শান্ত নদীর অপূর্ব কোন মুহুর্ত, কখনো নদীর উপর বয়ে যাওয়া ছোট্ট ডিঙ্গির কোন অজানায় শুভ যাত্রা আর জটপাকানো শহুরে মানবিক কোলাহল -এই মনোহর ছন্দময় জীবন প্রকৃতির সংযোগ ভিনিতার ব্যক্তিগত জীবনবোধের প্রতিচ্ছবি বলা যেতে পারে এই জীবনবোধকে journey of self-discovery এক্ষেত্রে German-Swiss সাহিত্যক Hermann Hesse কথা গুলো সঙ্গত-

“Have you also learned that secret from the river; that there is no such thing as time?" That the river is everywhere at the same time, at the source and at the mouth, at the waterfall, at the ferry, at the current, in the ocean and in the mountains, everywhere and that the present only exists for it, not the shadow of the past nor the shadow of the future.”
                                                                                -From the novel Siddhartha

সার্থক প্রকৃতি:
নগর জীবনের দৈনন্দিন কর্মকান্ড এবং চাহিদার নিজস্ব কিছু ধরণ আছে যা স্থান সময়ের উপর প্রভাব ফেলে এই নিত্য জীবন যাপনের মধ্যে রয়েছে - বিনিময়, যোগাযোগ, পুঁজি প্রভৃতি শহরের স্থান বিন্যাস প্রায় নির্ভরশীল মানুষের ক্ষমতা, উৎপাদন আর সংস্থানের উপর আবার শহুরে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় মানুষের জ্ঞান আর ক্ষমতার মধ্যকার লেনদেনে ফরাসি দার্শনিক সমাজ তাত্ত্বিক Henri Lefebvre এর মতে 'The upshot is certain global phenomena affecting space as whole (exchange, communication, urbanization, the 'development' of space), as well as a compartmentalizations, disintegrations, reductions and interdictions.'   (From the Absolute Space to Abstract Space, The Production of Space, page 289)
যখন মানুষ শহরকে তার প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আর নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে, তখন তার সাথে প্রকৃতির দূরত্ব থেকেই যায় তাই প্রকৃতির প্রকৃত রূপ আর শহুরে পরিবেশ দৃশ্যগত বৈপরীত্য সাংঘর্ষিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ভিনিতার নৈসর্গিক বিমূর্তায়নের সার্থকতা এখানেই - প্রকৃতি আর শহরের বিন্যাসে এই বৈপরীত্য ম্লান হয়ে যায় শহর প্রকৃতি কোথাও এক হয়ে মিশে যায় আবার আলাদা হয়ে একে অপরকে আলোড়িত করে 

মানবিক চেতনা:
ভিনিতার শিল্প দর্শন আশাবাদী, অনেকাংশে অরাজনৈতিক তিনি এই অস্থির পৃথিবীর একজনযিনি তাঁর আশা আর স্বপ্নকে ধারণ করেন এক মানবিক চেতনায় তাই হয়তো  ভিনিতার  ক্যানভাসে শহর মানবিক ভীড়-ভাট্টার ছন্দে ঠাসা প্রকৃতি আর শহর সমান্তরাল কোন ছন্দে  চলমান যা এক সঙ্গীতময় অপরূপ পৃথিবীর পরিকল্পনা

অনুপ্রেরণা:
ভিনিতার বৈশ্বক বিচরণ বিশ্বের বিভিন্ন ভূমির সাংস্কৃতিক ভিন্নতা তাঁর মননকে প্রভাবিত করে পাশাপাশি সচেতন অথবা অবচেতনে ব্যক্তিগত বিশ্বাস, ঐতিহ্য, সঙ্গীত, আধ্যাত্নিকতার মত বিষয়গুলো তাঁর চিন্তন ক্রিয়ায় বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে  ব্যক্তিগত পছন্দের অনেক শিল্পীর শিল্পকর্ম তাঁকে আকৃষ্ট করে বিশেষ করে বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকের প্রখ্যাত Austrian চিত্রশল্পী এবং স্থপতি Friedensreich Hundertwasser' অর্গাণিক ফর্ম, উজ্জ্বল বর্ণ, সরলরেখা বিমুখীতার চিত্রণ শৈলী ভিনিতাকে অনুপ্রাণিত করে এছাড়া ফরাসি শিল্পী Paul Gauguin' পোস্টইম্প্রেশনিষ্ট প্রিমিটিভিটিভারতীয় শিল্পী Syed Haider Raza' সৃষ্টিত্তত্ব দর্শনের বিমূর্তায়ন শিল্পী Ram Kumar'  নৈসর্গিক বিমূর্তায়নও তাঁকে আকর্ষণ করে  ভিনিতার চিত্ত এই বিশদ অনুপ্রেরণা জ্ঞানের ভেতর আপন শিল্পসাধনার ভাষা খুঁজে নেয়



বিশ্ব নাগরিক:
ফিরে আসি ভিনিতার বিশ্বপরিক্রমায় সেই ব্রহ্মদেশে জন্ম তারপর শিক্ষাজীবন আর কর্মজীবন মিলিয়ে জার্মানী, সুইডেন, মিশর, ফিলিপিন, লিবিয়া, ভারত, বাংলাদেশ সহ আরো অনেক দেশে তাঁর বিচরণ চলমান যদিও তাঁর শেকড় উপমহাদেশেই, ভারতীয় পাঞ্জাব বংশোদ্ভুত কিন্তু তিনি আজ অবধি একজন বিশ্বনাগরিক শিল্পী হিসেবে একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব যেখানেই গিয়েছেন আপন করে নিয়েছেন সেখানকার পরিবেশ, আবার স্থিতু হবার আগেই প্রস্তুত থেকেছেন নতুন কিছু চেনার  অবশ্য এই দীর্ঘ যাত্রা খুব সহজ ছিল না এই বিচিত্র পৃথিবীর বৈরী পরিবেশগুলোতে তিনি নিজেকে সামলে নিয়েছেন তাঁর শিল্প চৈতন্যের গুণে কোথাও স্থানভেদে অন্যতা (otherness) কে পাশ কাটাতে হয়েছে স্বকৌশলে

প্রত্যাবর্তন:
ভিনিতার বিচিত্র এই শিল্প পরিক্রমা বহু দেশ বিদেশ হয়ে তার ব্যাপ্তি আজ অনেক দূর ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে এই নিয়ে ২৩তম একক প্রদর্শণী সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন এছাড়া ইতিমধ্যে অংশ নিয়েছেন অসংখ্য আন্তর্জাতিক গ্রুপ প্রদর্শণী আর্ট ক্যাম্পে বাংলাদেশে ভিনিতা একক প্রদর্শণী নিয়ে আসেন সেই ১৯৯৫ সালে La Galerie'তে তারপর যথাক্রমে দ্বিতীয় তৃতীয়বারের মতো একক প্রদর্শণী সম্পন্ন করেন ১৯৯৮ Drik ২০১২ ' Bengal Art Lounge গ্যলারীতে  আজ ২০১৫এই Bengal Art Lounge গ্যালারীতে আবার উপস্থিত চতুর্থ বারের মত তাঁর দীর্ঘ পরিক্রমণের আরেক সম্ভার 'River Stories' নিয়ে

ঘুরে ফিরে শান্ত নদীর বাঁকে এই ভীড় ভাট্টা শহরে  ফিরে এলেন তিনি। হয়তো খোঁজ মিলে তাঁর নদীর বার্তায় চির চেনা এই প্রকৃতি, মানুষ আর সভ্যতার।  দর্শক, আমরা ভিনিতার শান্ত নদীর বেঁকে যাওয়া ভীড়ভাট্টার শহরের একটু কাছে যায়, হয়তো সেখানে আমাদেরও খুঁজে পাবো!